শিরোনাম
ঢাকা অফিস :: | ১২:১৬ পিএম, ২০২৪-০১-০৪
পার্ট টাইম চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া বাংলাদেশি ও চীনা নাগরিকের সংঘবদ্ধ চক্রের ৮ বাংলাদেশি প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম টিম। তাদের রাজধানীর ও আশপাশের এলাকা থেকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ইমাদুল ইসলাম (২১), মো. আবু বক্কর সিদ্দিকি শান্ত (২১), মো. জাবের আহাম্মেদ (৩১), হোসনাহার আক্তার হেমা (২৩), মো. রাকিব মোল্লা (১৯), মোহাম্মদ আলী (১৯), মো. সোলাইমান (১৯) এবং আবু সাইদ সুমন (৩৩)। ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুর রহমান আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এডিসি সাইফুর জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে দেশি-বিদেশি আরো অনেকে জড়িত। তারা মানুষকে অনলাইনে টাকা উপার্জন কিংবা পার্ট টাইম চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত। বিভিন্ন কৌশলে সি-ফাইন্যান্স, লোন অ্যাপস, হানি ট্রাপস অ্যাপসের মাধ্যমে প্রতারণা করতে যেসব সিমে নগদ বা বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা আছে সেগুলো সংগ্রহ করত। এই সিমগুলো কয়েক হাত বদল হয়ে প্রায় ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকায় সংগ্রহ করা হয়।
তিনি আরো জানান, প্রতারণার মূল পরিকল্পনাকারী চায়না নাগরিক নিও এবং এলওইনের নির্দেশে ঢাকার উত্তরা এবং জামালপুর জেলায় তাদের প্রতিনিধির নিকট হস্তান্তর করে। নিও এবং এলওইনের নির্দেশে ভিকটিমের নিকট হতে প্রতারণার টাকা গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে কয়েকটি ব্যাংক একাউন্ট প্রকৃত একাউন্টধারীর নিকট হতে এক লাখ টাকার বিনিময়ে কিনে নিত। এরপর গ্রেপ্তারকৃতরা পরস্পর যোগসাজসে ও সহায়তায় লোন অ্যাপস, হানি ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণা করে প্রতারণার অর্থ ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে চীনা নাগরিকদের নিকট স্থানান্তর করত।
যেভাবে প্রতারণা করত
ভুক্তোভোগীর ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারকরা মেসেজ দিয়ে অনলাইনে কাজের অফার দিত। ভুক্তোভোগী কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলে, আপনি শুধু তাদের দেওয়া লিংকে প্রবেশ করে ভোট দেওয়াসহ রিভিউ করবেন এবং প্রতিটি কাজের বিনিময়ে ১৫০ টাকা করে পাবেন। ভুক্তোভোগীকে তাদের বিকাশ নাম্বারে ১৫০ টাকা পাঠাতে বলত। ভুক্তোভোগী তাদের নির্দেশ অনুয়ায়ী কাজগুলো করলে প্রতারকরা বিশ্বাস অর্জনের জন্য বিভিন্ন সময় বিকাশ বা নগদ নাম্বারে ৭ হাজার ৮৯৫ টাকা দেয়। এক পর্যায়ে ভুক্তোভোগীকে তারা কাজের কথা বলে বিকাশে ২৯ হাজার টাকা পাঠাতে বললে ভুক্তোভোগী ৯ হাজার টাকা পাঠায়। প্রতারকরা তখন সি-ফাইনান্সিং নামক ওয়েবসাইটে ঢুকে ভুক্তোভোগীকে একটি একাউন্ট খুলতে বলে। কিন্তু কাজ শেষ হয়নি বলে ভুক্তোভোগীর একাউন্টের টাকা আটকে দেয় এবং কাজ শেষ করার জন্য আরো ৩৬ হাজার টাকা বিনিয়োগের জন্য পাঠাতে বলে। বাদী দিতে অস্বীকার করলে গ্রুপের অন্যান্য প্রতারকরা ভুক্তোভোগীকে টাকা বিনিয়োগের জন্য বলে। তখন ভুক্তোভোগী প্রায় ৯ লাখ ৯ হাজার টাকা প্রতারকদের বিভিন্ন একাউন্টে পাঠিয়ে এক পর্যায়ে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
এডিসি সাইফুর বলেন, বর্তমানে অনলাইনে কাজের ক্ষেত্রে বা বিনিয়োগের বিষয়ে কোন প্রকার যাচাই-বাছাই না করে যত্রতত্র হতে মোবাইলের সিম কেনা, ফিঙ্গার দেওয়া, লোভনীয় বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে বিনিয়োগ করা, আকর্ষণীয় বেতন ফিগার দেখে চাকরিতে যোগদান করা, ফ্ল্যাট জমি এবং বিভিন্ন কিছু কেনাবেচা করার ক্ষেত্রে নাগরিক সমাজকে আরও বেশি সর্তক থাকতে হবে। আর যেকোন ধরনের প্রতারণা কিংবা সমস্যায় পড়লে, সাথে সাথে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।
ঢাকা অফিস :: : সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করছে বিআরটিএ বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ব্য...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : দৈনিক আমাদের চট্টগ্রামের সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দ...বিস্তারিত
চকরিয়া প্রতিনিধি: : কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সোমবার(১৫ এপ্রিল)রাতে সন্ত্রাসীদের সংঘবদ্ধ হ...বিস্তারিত
চকরিয়া প্রতিনিধি: : কক্সবাজারের চকরিয়ায় এরফান আরা বেগম (৬৯) নামে এক অসহায় বিধবাকে তার স্বামীর বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদের চ...বিস্তারিত
চকরিয়া প্রতিনিধি: : কক্সবাজারের চকরিয়ায় মোহাম্মদ আব্দুল গাফফার এবং মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন নামে দুই ভাইয়ের যোগসাজশে জ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : প্রতিদিন চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী মানুষ তাদের মামলা- মোকদ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited